সি এন জি
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস। সাধারনত: জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের একটি রূপ। গ্যাসকে চাপের মাধ্যমে তরলে পরিনত করে তা গ্যাস ট্যাংকে জমা করা হয়।
[সম্পাদনা] উৎপাদন
সাধারন ব্যবহার্য প্রাকৃতিক গ্যাসকে প্রচন্ড চাপে (৩০০০ +পি এস আই )তরলিবৃত করা হয়। গ্যাস লাইনের মাধ্যমে আগত গ্যাসকে চাপ প্রয়োগ করা হয় এতে তরলীকৃত গ্যাস ট্যাংকে জমা হয় এবং অবশিশ্ট ৮০ % গ্যাস পুনরায় লাইনে ফেরৎ যায় । এভাবে পর্যায় ক্রমে এই প্রক্রিয়ায় জমা হওয়া গ্যাস গাড়িতে সংরক্ষিত ট্যাংকে ভরে দেয়া হয়।
[সম্পাদনা] ব্যবহার
প্রায় সবধরনের ডিজেল বা পেট্রল চালিত গাড়ি সি এন জি রূপান্তরের মাধ্যমে সি এন জি কে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। তবে নিম্নে ১২৫ সিসি এর মোটর সাইকেলকে গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া সাপেক্ষে এই রূপান্তর সম্ভব।
[সম্পাদনা] সুবিধা ও অসুবিধা
গ্যাস বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক সম্পদ। এবং এটি সহজলভ্য ও সস্তা। সি এন জি বিক্রি হয় কিউবিক মিটার হিসেবে ১ সি এম সি এন জি র মূল্য ৮ টাকা প্রায়। অথচ: এক লিটার পেট্রোল ৫৬ টাকা ও ডিজেল ৩৩ টাকা । উভয়ের মাইলেজ প্রায় সমান। অর্থাৎ লিটারে প্রায় ২৫-৪৮ টাকা সাশ্রয়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, জ্বালানি তেল আমদানি বাবদ দেশের বিপুল পরিমান বৈদেশিক মূদ্রার সাশ্রয়। এছাড়াও পরিবেশ রক্ষায় এর অবদান যথেষ্ট অবদান রয়েছে।
এর অসুবিধা তেমন নেই। তবে সিএনজি তে রূপান্তরের উচ্চ মূল্য, গ্যাস সরবরাহের অপর্যাপ্ততা, সিলিন্ডারের উচ্চমূল্য, সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে না পারা এর বড় সমস্যা।
ইঞ্জিনের সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে, আরো বেশি গাড়িকে সিএনজি রূপান্তর, এবং সারাদেশে পর্যাপ্ত গ্যস শ্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে দেশের বিপুল বৈদেশিক মূদ্রা সাশ্রয়ে সকলের এগিয়ে আসা উচিত।