উইকিপেডিয়া আলাপ:বাংলা বানানের নিয়ম
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[সম্পাদনা] উইকিপিডিয়া/উইকিপেডিয়া
এই পাতার লিঙ্ক ও শিরোনামে - উইকিপেডিয়া এর স্থলে উইকিপিডিয়া করা প্রয়োজন। --Amr ০৮:২৯, ১ আগস্ট ২০০৬ (UTC)
- এই ব্যাপারে উইকিপেডিয়া:প্রশাসকদের আলোচনাসভা ও অন্যত্র কথা বলা হয়েছে, সেটা দেখে নিন। আসলে এইটা নেমস্পেসের নামের ব্যাপার, যা ডেভেলপারদের মাধ্যমে ঠিক করতে হবে। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ১৪:১০, ১ আগস্ট ২০০৬ (UTC)
[সম্পাদনা] বিদেশী নামের ই/ঈ
বিদেশী যেসব শব্দের উচ্চারণে ই-টা দীর্ঘ ভাবে হয়, তাদের ক্ষেত্রে কোনটা ব্যবহার করতে হবে, ই নাকি ঈ? যেমন নিউজীল্যান্ড, নাকি নিউজিল্যান্ড? অ্যাশলি নাকি অ্যাশলী? --রাগিব (আলাপ | অবদান) ২০:৫৬, ২২ অক্টোবর ২০০৬ (UTC)
- এ ব্যাপারে বাংলা একাডেমীর বর্তমান নিয়ম হল হ্রস্ব ই । কিন্তু ব্যাপারটা বেশ ধোঁয়াটে, fuzzy। irony-র জন্য লক্ষ্য করুন তারা নিজেরাই এখনো "একাডেমী" লিখছেন। অ্যাশলী/অ্যাশলি-র ক্ষেত্রে অ্যাশ্লি হতে এমনিতেও কোন বাধা নেই, কারণ লি-টা (ley) ইংরেজিতে দীর্ঘ করে উচ্চারিত হয় না। প্রসঙ্গত, এই -ley টা অন্য ভাবেও ঝামেলা বাধাতে পারে; অনেকে এটাকে "লে" আকারে লেখেন, যেমন - অ্যাশলে। সেটাও উচ্চারণ অনুযায়ী ভুল। Berkley, Ashley, Wembley - এগুলো সবসময় বার্ক্লি, অ্যাশ্লি, ওয়েম্ব্লি - এভাবে লেখা উচিত।
- In fact, -ey তে (এবং কখনো কখনো -ay তে) শেষ হয় এরকম সব ইংরেজি নামের ক্ষেত্রেই হ্রস্ব-ইকার ব্যবহার করা উচিত। Surrey - সারি, Murray - মারি, ইত্যাদি।
--অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২৩:৫২, ২২ অক্টোবর ২০০৬ (UTC)
What about Aesop abd Yeast? ছোটোবেলায় ঈশপ এবং ঈস্ট পড়েছি মনে হচ্ছে। তবে ইশপ এবং ইস্ট দেখতে একটু খটকা লাগলেও চলতে পারে। ইস্ট দেখলে ইস্টবেঙ্গল ওয়ালা East ইস্ট মনে হয়--128.12.147.175 ০৬:৩৭, ২৩ অক্টোবর ২০০৬ (UTC)
- Beet? আমার প্রশ্ন এটাই, যেসব শব্দের উচ্চারণে স্পষ্টতঃই দীর্ঘ ঈ ধ্বনি আসে, সেগুলিতেও কি হ্রস্ব-ই ব্যবহার করতে হবে? ঈস্টের ক্ষেত্রে ঘাপলা বেধে যাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৬:৫৩, ২৩ অক্টোবর ২০০৬ (UTC)
- হ্যাঁ, এটার সমস্যা খুব সহজে যাবে বলে মনে হবে না। সমস্যাটার মূল প্রকৃতি একটু খোলাসা করে বলি:
- বাংলা ভাষায় বাংলা তদ্ভব, দেশী, কিংবা তৎসম কোন শব্দেই আমরা বাঙালিরা দীর্ঘ ঈ কখনোই দীর্ঘ করে উচ্চারণ করি না। কিন্তু তারপরেও দীর্ঘ ঈ-ওয়ালা অনেক শব্দ বাংলায় থাকার একটাই কারণ, সংস্কৃত থেকে আসা বিপুল সংখ্যক তৎসম শব্দগুলোর সংস্কৃত বানান ধরে রাখার জন্য। অর্থাৎ দীর্ঘ ঈ উচ্চারণের দীর্ঘত্বের নির্দেশক নয়, বরঞ্চ শব্দটির উৎস ভাষা যে সংস্কৃত - তার নির্দেশক (১)। আমাদের ১৮শ-১৯শ শতকের পণ্ডিতেরা ছিলেন সংস্কৃতঘেঁষা, তাই তারা অবলীলায় দীর্ঘ ঈ দীর্ঘ ঊ এগুলো আমাদের বর্ণমালায় আমদানি করেছেন এবং আমরা সবাই তা এতদিন ব্যবহার করে করে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এমনকি আগে আরও তিনটা স্বরবর্ণ ছিল - দীর্ঘ ঋ, ৯ (লি) ও দীর্ঘ লি। সেগুলো বহু কষ্টে বাদ দেয়া গেছে। কিন্তু ঈ ঊ এগুলো বাদ দেয়া যায়নি।
- আরও সমস্যা হয়েছে যখন অনেকে দীর্ঘ ঈ, দীর্ঘ ঊ আসলে উচ্চারণের দীর্ঘত্ব নির্দেশ করে (২) - এই ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে অন্য বিদেশী শব্দের ওপর এগুলো প্রয়োগ করা শুরু করেন। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। বুঝতেই পারছেন (১) আর (২) পুরোপুরি conflicting দুটা principle। ফলে যা হবার তা-ই হয়েছে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৭:২৭, ২৩ অক্টোবর ২০০৬ (UTC)