ভুসুক পা
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চর্যাগীতি রচনার সংখ্যাধিক্যে দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী হলেন ভুসুক পা। তাঁর রচিত আটটি পদ চর্যাপদ গ্রন্থে সংগৃহীত হয়েছে। তাঁর প্রকৃত নাম শান্তিদেব। তিনি সৌরাষ্ট্রের রাজপুত্র ছিলেন এবং শেষ জীবনে নালন্দায় বৌদ্ধ ভিক্ষু হিসেবে নিঃসঙ্গ ভাবে অবস্থান করেন। সেজন্য ভুক্তির ভু, সুপ্তির সু এবং কুটিরের কু -এই তিন আদ্যাক্ষর যোগে তাঁকে ভুসুক বলে পরিহাস করা হত। ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্র মতে শান্তিদেব ভুসুক সাত শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বর্তমান ছিলেন। রাহুল সাংকৃত্যায়নের মতে ভুসুকুর জীবিৎকালের শেষ সীমা ৮০০ খ্রিস্টাব্দ। ধর্ম পালের রাজত্বকালে (৭৭০-৮০৬ খ্রিস্টাব্দ) ভুসুকু জীবিত ছিলেন। তিনি রাউত বা অশ্বারোহী সৈনিক ছিলেন। পরে ভিক্ষু ও সিদ্ধ হন। 'আজি ভুসুকু বঙ্গালী ভইলী। নিঅ ঘরিণী চন্ডালে লেলী।' -ভুসুকুর এই উক্তিকে প্রমাণ স্বরূপ মনে করে তাঁকে বাঙালি অনুমান করা হয়।
সূত্রঃ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।