আজিজুল হক
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আজিজুল হক (২৭শে নভেম্বর, ১৮৯২ - ১৯শে মার্চ, ১৯৪৭) বাঙালি শিক্ষাবিদ, কূটনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক এবং লেখক ছিলেন। নদীয়া জেলার শান্তিপুরে তাঁর জন্ম।
রাজনৈতিক জীবনে আজিজুল হক বঙ্গীয় সরকারের শিক্ষামন্ত্রী (১৯৩৪), বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার স্পিকার (১৯৩৭), লন্ডনে ভারতের হাইকমিশনার (১৯৪২), বড়লাটের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে বাণিজ্য, শিল্প ও খাদ্য বিভাগের কেবিনেট মন্ত্রী (১৯৪৩), গণপরিষদের সদস্য (১৯৪৬) হিসেবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত হন। তিনি দু'দফায় (১৯৩৮-১৯৪০, ১৯৪০-১৯৪২) কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আজিজুল হক সরকারি স্কুলে শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজী থেকে বাংলায় চালু, শিক্ষা সপ্তাহ পালন কর্মসূচী, প্রাথমিক শিক্ষা পরিকল্পনাকে অ্যাক্টে পরিণত করা, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপনা সভায় মহাজনি বিল এবং প্রজাস্বত্ত আইন উপস্থাপন করে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন।
[সম্পাদনা] প্রকাশিত গ্রন্থ
- History and Problems of Moslem Education in Bengal (১৯১৭)
- The man behind the Plough (১৯৩৯)
- The Sword of the Crescent Moon (১৯৮৪)
[সম্পাদনা] সম্মাননা
- ১৯২৩ সালে খান বাহাদুর উপাধি লাভ।
- ১৯৩৭ সালে নাইট(Knight) উপাধি লাভ করেন।
- ১৯৩৭ সালে সি.আই.ই.(CIE) উপাধি লাভ।
- ১৯৪৬ সালে কে.সি.এস.আই.(KCSI) উপাধি লাভ।
আজিজুল হক মুসলিম লীগের বোম্বাইর প্রস্তাব (১৯৪৬) অনুযায়ী সব সরকারি খেতাব বর্জন করেন।