আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দীন (জানুয়ারি ১১৯৩০ - নভেম্বর ৩০, ১৯৯৮) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞান লেখক ও বিজ্ঞান কর্মী। তবে তিনি আবদুল্লাহ আল-মুতী নামেই সমধিক পরিচিত।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] জন্ম ও শিক্ষা
সিরাজগঞ্জ জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার এক গ্রামে আবদুল্লাহ আল-মুতীর জন্ম। তার মা হালিমা শরফুদ্দিন এবং বাবা শেখ মইন শরফুদ্দিন। ৫ ভাই ৬ বোনের মধ্যে আবদুল্লাহ আল-মুতী সবার বড়। ১৯৪৫ সালে ঢাকার মুসলিম হাই স্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন (এখনকার এসএসসি পরীক্ষা) পরীক্ষায় কলকাতা বোর্ডে ২য় স্থান লাভ করেন। ১৯৪৭ সালে ১১ তম স্থান নিয়ে সাফল্যের সঙ্গে আই এ পাশ করেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোন। পদার্থ বিদ্যায় সম্মান সহ স্নাতক হোন ১৯৫২ সালে। মহান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়তার কারণে এই সময় তিনি দ্বিতীয় শ্রেণী লাভ করলেও পরের বছর প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে তিনি মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। এর পর শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে শিক্ষায় এম,এ এবং ১৯৬২ সালে পিএইচডি লাভ করেন। তার অভিসন্দর্ভ-এর শিরোনাম ছিল -Curriculum Changes in Pakistan with special references to high school science education ।
তার প্রকাশিত বিজ্ঞান ও শিক্ষা বিষয়ক মৌলিক গ্রন্থের সংখ্যা ২৭, অনুদিত গ্রন্থের সংখ্যা ১০, সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ১০। এছাড়াও কিছু পান্ডুলিপি রয়েছে, যার অনেক গুলো এখনও অপ্রকাশিত। রেডিও এবং টিভিতে তাঁর উপস্থাপিত অনুষ্ঠান বিষেশভাবে জনপ্রিয় হয়েছিল।
বিজ্ঞানের জটিল, সূক্ষ বিষয়কে সহজ ভাষায় সর্বজনবোধ্য করে তোলার জন্য তার দক্ষতা ও সাফল্য ছিল তুলনাহীন। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য অঙ্গনে অজস্র সংগঠন প্রতিষ্টানের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন আমৃত্যু। বাংলা একাডেমী, এশিয়েটিক সোসাইটি, বিজ্ঞান শিক্ষা সমিতির সভাপতি হিসাবে তিনি বহু দিন দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় শিশু-কিশোর সংস্থা , কেন্দ্রীয় কচি কাচার মেলা সহ নানা সংঠনের উপদেষ্টা ছিলেন। এছাড়া তিনি জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষা সংস্কার ও আধুনিকরণের কর্মকান্ডে তিনি প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থেকে উজ্জ্বল অবদান রেখে গেছেন।
[সম্পাদনা] কর্ম জীবন
আবদুল্লাহ আল-মুতী কর্ম জীবন শুরু করেন রাজশাহী কলেজে শিক্ষক হিসাবে। তারপর শিক্ষা প্রশাসন ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গুরু দায়িত্ব পালন করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব পদ থেকে অবসর গ্রহন করেন ১৯৮৬ সালে।
[সম্পাদনা] পুরস্কার
বিজ্ঞান জনপ্রিয়করার জন্য ইউনেস্কো কলিঙ্গ পুরস্কার ১৯৮৩
ইউনেস্কো সাহিত্য পুরস্কার ১৯৫৯
বাংলা একাডেমী পুরস্কার ১৯৭৫
একুশে পদক ১৯৮৫
স্বাধীনতা পদক ১৯৯৫
শিশু একাডেমি পুরস্কার
কুদরাত-ই-খুদা স্বর্ণ পদক
কাজী মাহবুব উল্লাহ স্বর্ণপদক
অগ্রণী ব্যাংক পুরুস্কার
[সম্পাদনা] গ্রন্থ
- এসো বিজ্ঞানের রাজ্যে
- অবাক পৃথিবী
- রহস্যের শেষ নেই
- জানা-অজানার দেশে
- সাগরের রহস্যপুরী
- বিজ্ঞান ও মানুষ
- এ যুগের বিজ্ঞান
- টেলিভিশনের কথা
- স্বাধীনতা, শিক্ষা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
- আবিষ্কারের নেশায়
- বিপন্ন পরিবেশ
- তারার দেশে হাতছানি
- আয় বৃষ্টি ঝেপে