মুহম্মদ জাফর ইকবাল
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুহাম্মদ জাফর ইকবাল (জন্ম ডিসেম্বর ২৩, ১৯৫২) একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ, ও শিক্ষাবিদ। তিনি বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখা ও জনপ্রিয়করণের পথিকৃত। তাঁর লেখা বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] ব্যক্তিগত জীবন
জাফর ইকবালের জন্ম ডিসেম্বর ২৩, ১৯৫২, সিলেট । তাঁর পিতা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা আখতার খাতুন। তিনি বাংলাদেশ এর প্রখ্যাত সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ এর ছোটভাই।
জাফর ইকবালের স্ত্রী ডঃ ইয়াসমীন হক একজন পদার্থবিদ, এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা। তাঁর দুই সন্তান - বড় ছেলে নাবিল ইকবাল যুক্তরাষ্ট্রের কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক পাশ করে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনলজীতে পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি করছেন এবং ছোট মেয়ে ইয়েশিম ইকবাল কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাচেলর'স লেভেল এ পড়ছেন।
পিতার বদলীর চাকরির সুবাদে জাফর ইকবাল পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল সহ দেশের বিভিন্ন অংশে। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ হতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন, এবং ১৯৭৬ সালে উচ্চ শিক্ষার্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় এ যান। সেখান থেকে ১৯৮২ খ্রীষ্টাব্দে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করার পর তিনি ক্যালটেক ও পরে বেল ল্যাব্স এ কাজ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে সুদীর্ঘ আঠার বছর কাজ করার পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।
[সম্পাদনা] কর্ম জীবন
ড. জাফর ইকবালের কর্মজীবন শুরু ক্যালটেকে পরে তিনি বেল ল্যাবসে যোগ দেন। এথানেই তিনি তার কর্মজীবনের সুদীর্ঘ সময় ব্যয় করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি বাংলাদেশে ফিরে সিলেটের শাহ জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন। আজ অবধি তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়েই অবস্থান করছেন।
তিনি একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মনোনীত হন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন শিক্ষক সমিতির সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেন। এর আগে একাধিক মেয়াদে ও বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স এন্ড টেকনলজির ডিনের দ্বায়িত্বে আছেন।
প্রগতিশীল চিন্তাধারার ধারক হিসেবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সাহিত্য ও সংস্কৃতি সেবী ছাত্র সংগঠনের উপদেষ্টা। তার এ অবস্থান অনেক সময় প্রতিক্রিয়াশীলদের রোষানলে পড়েছে।
[সম্পাদনা] সাহিত্য
জাফর ইকবালের লেখালেখির শুরু অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক বিচিত্রায় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী রচনার মাধ্যমে। পরে তাঁর এইসব ছোটগল্পের সংকলন কপোট্রনিক সুখ-দুঃখ বই আকারে প্রকাশ পায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সময় জাফর ইকবাল নিয়মিত ভাবে কল্পসাহিত্য রচনা করেন। এছাড়া শিশুসাহিত্যিক হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। শিশুকিশোরদের জন্যে লেখা তার বইগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রকাশ পেয়েছে। তাঁর লেখা কলামগুলোতে তাঁর রাজনীতি সচেতনতা এবং দেশপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড গড়ে তোলার পিছনে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। এই সংক্রান্ত গণিত শিক্ষার উপরে তিনি ও অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ বেশ কয়েকটি বই রচনা করেছেন। জাফর ইকবাল নিয়মিতভাবে পত্রপত্রিকায়, বিশেষ করে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় কলাম লিখেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার "একমুখি শিক্ষা" পদ্ধতি চালু করতে চাইলে তিনি এই পদ্ধতির বিভিন্ন অসামঞ্জস্যতা তুলে ধরেন এবং এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তিনি "একমুখি শিক্ষা প্রতিরোধ কমিটি" এর আহবায়ক।
[সম্পাদনা] উল্লেখযোগ্য রচনাবলী
[সম্পাদনা] উপন্যাস
- আকাশ বাড়িয়ে দাও
- দুঃস্বপ্নের দ্বিতীয় প্রহর
[সম্পাদনা] ছোট গল্প
- ক্যাম্প
- ছেলেমানুষী
- নুরূল ও তার নোটবই
[সম্পাদনা] বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী
|
|
|
[সম্পাদনা] কিশোর সাহিত্য
- দীপু নাম্বার টু
- হাতকাটা রবিন
- দুষ্টু ছেলের দল
- জারুল চৌধুরীর মানিকজোড়
|
|
[সম্পাদনা] কলাম সংকলন
|
|
|
[সম্পাদনা] ভৌতিক সাহিত্য
- প্রেত
[সম্পাদনা] টিভি নাটক
- গেস্ট হাউস
- ঘাস ফরিঙের স্বপ্ন