হাবিব ওয়াহিদ
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হাবিব ওয়াহিদ, যিনি হাবিব নামেই বেশি পরিচিত, একজন বাংলাদেশী সুরকার এবং সঙ্গীতশিল্পী। তিনি বাংলা লোকগীতির ফিউশন এর সাথে টেকনো এবং শহুরে বিটের সমন্বয়ের জন্যে সমাধিক পরিচিত। তিনি মূলত স্বল্প পরিচিত লোকগীতি কে আরো ভাল সুর দিয়ে রিমিক্স করে সাধারনের কাছে প্রিও করে তুলেন। তিনি মূলত হাসন রাজা , শাহ আবদুল করিম, আমির উদ্দীন ইত্যাদি মরমী সঙ্গীত শিল্পীদের গানকে কিছু পরিবর্তন করে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। এ কারনে তিনি অনেকের কাছেই সমালোচিত হয়েছেন। তরুন প্রজন্মের কাছে তিনি খুব জনপ্রিয়।
[সম্পাদনা] জীবন এবং কেরিয়ার
হাবিবের পিতা ফেরদৌস ওয়াহিদ আধুনিক বাংলা পপ সঙ্গীতের পথদ্রষ্টা ছিলেন। ১৯৭০ ও ১৯৮০ এর দশকে ফেরদৌস ওয়াহিদ বাংলা পপ সঙ্গীতকে সম্মান জনক স্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন। হাবিব তাই ছোটবেলাতেই তার পিতার কী-বোর্ড থেকে সুর করতে শিখেন। পরে তিনি স্কুল অব অডিও ইঞ্জিনিয়ারিং (লন্ডন) এ অডিও ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়েন। এসময় তিনি এশিয়ান আন্ডারগ্রাউন্ডের নিতিন এর সাথে কাজ করার সুযোগ পান।
হাবিবের প্রথম লোকসঙ্গীতের রিমিক্স এলবাম কৃষ্ণ তিনি লন্ডনে ছাত্রাবস্থায় থাকাকালীন সময়ে প্রকাশিত হয়। হাবিব হলেন, তিনি এই এলবামের কনসেপ্ট ও সুর তাগেই তৈরী করেছিলেন, শুধু একজন গায়কের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। লন্ডনের একজন সিলেটী রেস্তরা মালিক কায়া ছিলেন একজন অপরিনত গায়ক, যার মত কন্ঠই হাবিবের দরকার ছিল। তাদের মিলিত গান গুলো লন্ডনে প্রচুর জনপ্রিয় হয়েছিল। যখন এই এলবাম কৃষ্ণ প্রথমবারের মত বাংলাদেশে মুক্তি পায় তখন খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এতে ছিল পুরোনো স্বাদের লোকসঙ্গীত এবং পাশ্চাত্যের ইলেকট্রনিকা এর মিশ্রণ যা বাংলাদেশে প্রথম।
এর পর থেকে তিনি আরও দুটি এলবাম মুক্তি দেন - মায়া (২০০৪) এবং ময়না গো (২০০৫). দুটোই বিক্রির তালিকায় একনম্বর ছিল। হাবিব এই এলবাম গুলোতে নতুন কন্ঠের আগমন ঘটান। কায়ার পাশাপাশি এতে হেলাল কে আনেন যার কন্ঠে অনেক অনুভুতি ছিল। জুলি, কনিকা, নির্ঝর ইত্যাদি নতুন মুখ ময়না গো এলবামে হাবিবের সাথে কাজ করে। হাবিব নিজেও ময়না গো এলবামের মাধ্যমে গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। হাবিবের পিতা ফেরদৌস ওয়াহিদ ও মিলন মাহমুদ ময়না গো এলবাম এ গান গেয়েছেন। হাবিবের গানগুলোতে হিপ-হপ. র্যাপ, ইত্যাদিতে কন্ঠ দেন কুনলে। হাবিব নিজেকে অন্যতম জনপ্রিয় তরুন সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।