অজিত রায়
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অজিত রায় বাংলাদেশের একজন কন্ঠ সঙ্গীত শিল্পী যাঁর দৃপ্ত পদচারণা ছিল সঙ্গীতের বিভিন্ন শাখায় প্রায় চার দশক ধরে। জন্ম ১৯৩৮ সালে। গান শিখেছেন মা কনিকা রায়ের কাছে। ১৯৬৩ তে ম্যাট্রিক পাশ করবার পর হতে রেডিওতে গান গাইতে শুরু করেন। পরে টেলিভিশন শুরু হবার পর হতে টেলিভিশনেও গান গেয়েছেন। গান শেখার প্রেরণা ছিল ১৯৫২ র ভাষা আন্দোলন। ষাট দশকের মাঝামাঝি হতে প্রতি বছর ভাষা আন্দোলনের বিশেষ দিনটিকে স্মরণ করে অর্থৎ ২১শে ফেব্রুয়ারী কে স্মরণ করে একটি করে নতুন গান করে আসছেন। এই রকমই একটি গান হলো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত বিদ্রোহী কবিতায় আলতাফ মাহমুদের সুর করা গান।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] চলচ্চিত্রে অজিত রায়
প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে অনেক বিখ্যাত চলচ্চিত্রে অজিত রায় কাজ করেছেন। এগুলো হলো রিপোর্টার, জীবন থেকে নেয়া, যে আগুনে পুড়ি, জন্মভূমি, কোথায় যেন দেখেছি এবং কসাই। তাছাড়াও তিনি সুরুজ মিয়া চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছেন।
[সম্পাদনা] স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে অজিত রায়
সহকর্মী শিল্পীদের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ এর জুন বা জুলাই মাসে তিনি কলকাতায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন। এসময় তাঁর সতীর্থ শিল্পীরা ছিলেন আপেল মাহমুদ, আব্দুল জব্বার, সমর দাস এবং কাদেরী কিবরিয়া সহ অন্যান্য শিল্পীরা। এ সময়ে তাঁর রচিত এবং সুরারোপিত বিখ্যাত গানগুলো রনাঙ্গাণে সৈন্যদের এবং সাধারণ মানুষদের স্বদেশ চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। এ গানগুলো হলো একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা, অপমানে তুমি সেদিন, কথা দাও কথাগুলো, আমি যুগে যুগে আসি, এদেশ বিপন্ন এবং হে বঙ্গ ভান্ডারে তব। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে প্রচারিত আখতার হোসেন রচিত স্বাধীন স্বাধীন দিকে দিকে আজ গানটিতে সুর ও কন্ঠ দিয়েছিলেন অজিত রায়।
[সম্পাদনা] কর্মজীবন
১৯৭২ সালে অজিত রায় তৎকালীন বাংলাদেশ বেতার এর সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন এবং ১৯৯৬ সালে চাকরী থেকে অবসর নেন। ১৯৮৭ সালে বিশ্বভারতী আয়োজিত কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১২৫ জন্ম জয়ন্তীতে আমণ্ত্রিত হয়ে কলকাতায় সঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন।
[সম্পাদনা] পুরস্কার ও সম্মাননা
অজিত রায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ন্বাধীনতা পদক পেয়েছিলেন ২০০০ সালে। শব্দসৈনিক পদক পেয়েছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র শিল্পী পরিষদ হতে। এছাড়াও তাঁর পদক তালিকায় রয়েছে ১৯৮৮ সালে সিকোয়েন্স পদক, বেগম রোকেয়া পদক, ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী পদক এবং রবি রশ্মি পদক।