আডল্ফ হিটলার
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আডল্ফ হিটলার | |
জার্মানির চ্যান্সেলর
Reichskanzler |
|
দাপ্তরিক সময়কাল জানুয়ারি ৩০ ১৯৩৩ – এপ্রিল ৩০ ১৯৪৫ |
|
পূর্ববর্তী চ্যান্সেলর | Kurt von Schleicher |
---|---|
পরবর্তী চ্যান্সেলর | Karl Doenitz |
Head of State
Führer und Reichskanzler |
|
দাপ্তরিক সময়কাল আগস্ট ২ ১৯৩৪ – এপ্রিল ৩০, ১৯৪৫ |
|
পূর্ববর্তী | Paul von Hindenburg (as President) |
পরবর্তী | Karl Dönitz (as President) |
|
|
জন্ম | এপ্রিল ২০, ১৮৮৯ ব্রুনাউ আম ইন, অস্ট্রিয়া |
মৃত্যু | এপ্রিল ৩০, ১৯৪৫ বার্লিন, জার্মানি |
রাজনৈতিক দল | ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টি (এনএসডিএপি) |
স্ত্রী | এভা ব্রাউন (এপ্রিল ২৯ ১৯৪৫ তারিখে বিয়ে করেন) |
আডল্ফ হিটলার (জার্মান ভাষায় Adolf Hitler আডল্ফ্ হিট্লা) (এপ্রিল ২০, ১৮৮৯ – এপ্রিল ৩০, ১৯৪৫) সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনাকারী।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] প্রথম জীবন
[সম্পাদনা] জন্ম ও পরিবার
হিটলার ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল অস্ট্রিয়াতের জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এলয়িস হিটলার সীমান্তের কাস্টমস কর্মকর্তা ছিলেন। তার মা ক্লারা হিটলারের আগে আরো দুই সন্তানজন্ম দিয়েছিলেন, যারা জন্মের কিছুকাল পরেই মারা যায়। ছয় বছর বয়সে হিটলার স্কুলে ভর্তি হন। তার পরিবার তখন লিঞ্জ শহরের আশেপাশে বিভিন্ন গ্রামে বাস করত। তার আরেক ভাই ছিল এডমন্ড, কিন্তু সেও ছয় বছর বয়সের মধ্যে মারা যায়। ১৮৯৬ সালে হিটলারের বোন পাউলার জন্ম হন। হিটলারের স্কুলের ফলাফল তেমন ভাল ছিল না। একজন চিত্রশিল্পী হবার আকাঙ্খায় লেখাপড়া শেষ করার আগে তিনি স্কুল ছেড়ে দেন। ১৩ বছর বয়সে তার বাবা মারা যান। ১৬ থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত হিটলার পরিবার বা নিজের অর্থ উপার্জনের জন্য কিছু করতেন না। কিন্তু, এই সময় তার রাজনীতি ও ইতিহাসের প্রতি আগ্রহি হয়ে উঠেন; একই সময় তিনি ভিয়েনা একাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এ ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হন।
[সম্পাদনা] কিশোর হিটলার
হিটলারের বয়স যখন ১৯, তার মা ক্লারা তখন ক্যান্সারে আক্রন্ত হয়ে মারা যান। ভরণ-পোষণ করার জন্য কোনো আত্মীয় না থাকায়, ১৯০৯ সালে অর্থ উপার্জনের জন্য হিটলার ভিয়েনা শহরে চলে আসেন। একবছরের ভিতর তার থাকার কোনো জায়গা ছিল না; তিনি কিছু দাতব্য সংস্থায় খাবার খেতেন। তার কোনো নিয়মিত চাকুরী ছিল না; মাঝে মাঝে কিছু বিজ্ঞাপনের ছবি এঁকে কিছু অর্থ জোগার হত।
[সম্পাদনা] প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯১৩ সালে হিটলার দক্ষিণ জার্মানির মিউনিখে চলে যান। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে একজনসেচ্ছাসেবী হিসেবে তিনি জার্মান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সেনাবাহিনীতে হিটলার ১৬ তম বেভারিয়ান রিজার্ভ ইনফান্টারি রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন। যুদ্ধে হিটলার বীরত্বের সাথে লড়াই করার জন্য কর্পোরাল পদে উন্নিত হন; তাকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর লৌহ ক্রস দেওয়া হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিনে হিটলার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন; ইপরেস সালিয়েণ্টে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর গ্যাস আক্রমনে হিটলার সাময়িক অন্ধ হন।
[সম্পাদনা] রাজনীতিতে প্রবেশ
মিউনিখে ফিরে আসার আগে ডিসেম্বর ১৯১৮ থেকে মার্চ ১৯১৯ সাল পর্যন্ত হিটলার যুদ্ধবন্দী হিসেবে ট্রাউনস্টেইনে কাজ করতেন। ফিরে আসার কিছু পরে সেনাবাহিনীর আগেই স্থানীয় কিছু কমুনিস্ট দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল কর নেয়। এই ব্যাপারে কিছু তথ্য সরবরাহ করার জন্য, তাকে স্থানীয় সেনা সংস্থাতে যোগ দেবার আমন্ত্রন জানানো হয়। সংস্থাটি কমুনিস্ট বিরোধী ছিল। এখানে প্রশিক্ষণ পাবার সময় হিটলারের বক্তৃতার ক্ষমতা শানিত হয়। তারা তাকে কিছু স্থানীয় রাজনৈতিক দলের উপর নজর রাখতে দ্বায়িত্ব দেয়। এই সময় একদিন, "জার্মান শ্রমিক দল" এর এক সভায় এক বক্তার বক্তৃতা শুনে হিটলার মারাত্মক রেগে যান ও বজ্রকন্ঠে এর প্রতিবাদ করেণ। ঐ দলের প্রতিষ্ঠাতা আনায়ন ড্রেক্সলার হিটলারের বক্তৃতায় চমকে উঠেন এবং তাকে তার দলে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রন জানান। হিটলার চিন্তা-ভাবনা করে এই সিধান্তে আসেন যে তিনি ঐ দলে যোগ দেবেন। ১৯১৯ সালের সেপ্টেম্বরে হিটলার সপ্তম কর্মকর্তা হিসেবে ঐ দলে যোগদেন।
[সম্পাদনা] নাৎসি পার্টি
[সম্পাদনা] হিটলারের উত্থান
[সম্পাদনা] জেলে হিটলার
[সম্পাদনা] মাইন ক্যাম্ফ
এই বিষয়ে মূল নিবন্ধের জন্য দেখুন: মাইন কাম্ফ
১৯২২ সালে জেলে থাকাকালীন হিটলার নিজের আত্মজীবনী ও রাজনৈতিক চিন্তাধারা সম্পর্কে জার্মান ভাষায় মাইন কাম্ফ ( বাংলায় - আমার সংগ্রাম) নামক একটি বই লেখেন।