ইয়োহানেস ইয়েনসেন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইয়োহানেস ভিলহেল্ম ইয়েনসেন (জানুয়ারি ২০, ১৮৭৩ – নভেম্বর ২৫, ১৯৫০) একজন ডেনীয় ঔপন্যাসিক, কবি এবং প্রাবন্ধিক। তিনি ১৯৪৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। তাঁর সাহিত্যে ডারউনের তত্ত্ব অনুসারে মানব বিবর্তনের ধারায় মানুষের উন্নতি প্রাধান্য পেয়েছে। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে: কংগেন্স ফাল্ড (১৯০০ - ০১) যা নেদারল্যান্ডের সাহিত্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ঐতিহাসিক উপন্যাস এবং ডেন লাংগে রেজসে (১৯০৮ - ২২) যাতে তিনি বাইবেলে উল্লেখিত কাহিনীসমূহকে বিবর্তনবাদের প্রেক্ষিতে পুনরায় ফুটিয়ে তুলেছেন।
[সম্পাদনা] জীবন
ইয়েনসেন ডেনমার্কের উত্তর ইয়ুটলান্টের অন্তর্গত হিমারল্যান্ডের ফারসো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হান্স ইয়েনসেন ছিলেন জেলার পশু চিকিৎসক। মা'র নাম মারি ক্রিস্টিন ইয়েনসেন। পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান ছিলেন তিনি। ১১ বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের কাছে শিক্ষা লাভ করেন। ১৮৯৩ সালে ক্যাথেড্রাল স্কুল অফ ভাইবর্গ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর তখন থেকে ১৮৯৮ সাল পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অফ কোপেনহেগেন-এ চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর পড়াশুনা করেন। এই শিক্ষা, যার মধ্যে উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়নের প্রাথমিক জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত ছিল, তার সাহিত্যচর্চায় সুদূরপ্রসারী এবং নিগূঢ় প্রভাব ফেলে। ১৮৯৬ থেকে ১৮৯৮ সালের মধ্যে তিনি জীবনের প্রথম দুইটি উপন্যাস রচনা করেন এবং এই সময়েই যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমনে যান যা তার পড়াশুনায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটায়। জেনসেন কিছু প্রমের উপন্যাস এবং গোয়েন্দা উপন্যাসের একটি সিরিজ রচনা করেছিলেন। এই রচনাগুলো একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় আইভার লাইকি ছদ্মনামে প্রকাশিত হয়। তিনি পলিটকেন পত্রিকার একজন সংবাদদাতা ছিলেন। স্পেনিশ-অ্যামেরিকান যুদ্ধের সময় তিনি স্পেন থেকে যুদ্ধের নিয়মিত সংবাদদাতার ভূমিকা পালন করেন। ১৯০৪ সালে এল্স মেরি উলরিককে বিয়ে করেন। পারিবারিক জীবনে তিনি তিন ছেলের জনক ছিলেন।