দিয়েগো মারাদোনা
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ব্যক্তিগত তথ্য | ||
---|---|---|
জন্মতারিখ | অক্টোবর ৩০, ১৯৬০ | |
জন্মস্থান | ভিল্লা ফিয়োরিতো, আর্জেন্টিনা | |
উচ্চতা | ১.৬৬ মিটার (৫ ফুট ৫ ইঞ্চি) | |
ডাকনাম | এল দিয়েজ(দ্যা টেন),পেলুসা,গোল্ডেন বয় | |
অবস্থান | স্ট্রাইকার,মিডফিল্ডার | |
যুব ক্লাব | ||
১৯৭০-১৯৭৬ | আর্জেন্টিনোস জুনিয়রস | |
পেশাদারী ক্লাব* | ||
বছর | ক্লাব | উপস্থিতি (গোলসংখ্যা) |
১৯৭৬-১৯৮১ ১৯৮১-১৯৮২ ১৯৮২-১৯৮৪ ১৯৮৪-১৯৯১ ১৯৯২-১৯৯৩ ১৯৯৩ ১৯৯৫-১৯৯৭ ১৯৭৬-১৯৯৭ |
আর্জেন্টিনোস জুনিয়রস বোকা জুনিয়র্স এফসি বার্সেলোনা এসএসসে নেপোলি সেভিল্লা এফসি নিউএলস অল্ডবয় বোকা জুনিয়র্স সর্বমোট |
১৬৬(১১৬) ৪২(২৮) ৫৮(৩৮) ২৫৯(১১৫) ২৯(৭) ৫(০) ২৯(৭) ৫৮৮ (৩১১) |
জাতীয় দল | ||
১৯৭৭-১৯৯৪ | আর্জেন্টিনা | ৯১(৩৪) |
* পেশাদারী ক্লাবের উপস্থিতি ও গোলসংখ্যা |
দিয়েগো আরমান্দো মারাদোনা (স্পেনীয় ভাষায় Diego Armando Maradona অক্টোবর ৩০, ১৯৬০) একজন আর্জেন্টিনীয় ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি আর্জেন্টিনা দলের হয়ে ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০ ও ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেন। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন, এবং ১৯৯০ সালে রানার-আপ হয়।
[সম্পাদনা] মারাদোনার জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাপঞ্জি
- ১৯৬০-৩০ শে অক্টোবর বুয়েনোস আয়ার্স এর লেনাস জেলায় জন্ম।
- ১৯৭৬- স্থানীয় ক্লাবের হয়ে খেলোয়াড়ি জীবনের অভিষেক।
- ১৯৭৭- ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, আর্জেন্টিনার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে মাঠে নামেন। বয়স ১৬ বছর ১২০ দিন।
- ১৯৭৮-বয়সে কম হবার কারণে বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়লেন।
- ১৯৭৯- ২ জুন, জাপানে অনুষ্ঠিত যুব বিশ্বকাপ এ জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করলেন। অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা ও জয় করলেন।
- ১৯৮২-২১ বছর বয়সে দলের সাথে ইউরোপে পাড়ি জমালেন স্পেন এ বিশ্বকাপ খেলার জন্য।ব্রাজিলের কাছে ৩-১ গোলে হেরে আর্জেন্টিনা বিদায় নিলো।
- ১৯৮৪- ইতালীয় ক্লাব নেপোলিতে যোগ দিলেন। ৪.৬৮ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ।
- ১৯৮৬-ঈশ্বরের হাতের খ্যাতি আর সাথে সাথে অসাধারণ নৈপূণ্য দেখিয়ে আর্জেন্টিনাকে এনে দিলেন বিশ্বকাপ। এ বছরই ইউরোপের সেরা ফুটবলার এর পুরস্কার পেলেন।
- ১৯৮৭- নেপোলিকে জিতালেন ইতালীয় ফুটবলের শিরোপা।
- ১৯৯০-সন্তানের পিতৃত্ব সঙ্ক্রান্ত মামলায় জরিমানা।বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির কাছে ০-১ গোলে হেরে গেল আর্জেন্টিনা।
- ১৯৯১-ড্রাগ টেস্ট এ পজিটিভ হবার কারণে ইতালি ত্যাগ করতে হল। কোকেন গ্রহণের অভিযোগে আর্জেন্টিনায় গ্রেফতার হলেন।
- ১৯৯২-স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়্যাতে যোগ দিলেন।কিন্তু আশানুরূপ ক্রীড়া নৈপূণ্য দেখাতে পারলেন না।
- ১৯৯৩-সেভিয়্যা ছেড়ে আবার আরজেন্টিনায় ফিরে এলেন। যোগ দিলেন স্থানীয় নোয়েল ওল্ড বয়েজ দলে।
- ১৯৯৪-আবার ড্রাগ টেস্টে ব্যর্থ হলে এক ম্যাচ পরেই বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়লেন।এরপর আর জাতীয় দলে খেলেন নি।
- ১৯৯৬-মাদকাসক্তি থেকে মুক্তিলাভের জন্য ক্লিনিকে ভর্তি হলেন।
- ১৯৯৭-৩৭ বছর বয়সে অবসর নিলেন।
- ২০০০-হৃদযন্ত্রের সমস্যায় উরুগুয়েতে এক হাসপাতালে ভর্তি হলেন।
- ২০০২-মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি লাভের আশায় কিউবা তে চলে গেলেন।
- ২০০৩-ম্যারাডোনা তার ছেলের সাথে দেখা করলেন প্রথম বারের মত।এর আগে তিনি সবসময় তাকে পুত্র হিসেবে অস্বীকার করে আসছিলেন।
- ২০০৪- ১৯ এপ্রিল, আরেকবার গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল তাকে।