প্রবেশদ্বার:বিজ্ঞান
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিজ্ঞান হল এমন এক ধরণের জ্ঞান যা পর্যবেক্ষণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন, পরীক্ষণ এবং কোন বিষয়ের ব্যাখ্যা বা ঘটনার ভবিষ্যৎবাণীর কারণ দেখানোর ক্ষেত্রে যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপনের মাধ্যমে গঠিত হয়। পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ এবং সূক্ষ্ণতর কারণ ব্যাখ্যন, এ সবই বিজ্ঞানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এর পাশাপাশি বিজ্ঞানের জগতে নিয়মানুবর্তিতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কাজ করার জন্য আবশ্যক। এ ধরণের পদ্ধতির মথ্যে প্রথমেই আসে প্রস্তাবিত প্রকল্পকে উপযুক্ত পরীক্ষণ এবং যুক্তির মাধ্যমে সত্যায়িতকরণ। এ ধরণের সত্যায়িত প্রকল্প সময়ের প্রয়োজনে এক সময় সত্যের মানদন্ড হিসেবে পরিগণিত হয় এবং কালক্রমে একটি সূত্রের মর্যাদা পায়; তবে বিজ্ঞানে কোন কিছুই অপরিবর্তনীয় নয়। পরবর্তীতে অধিক নির্ভরযোগ্য তত্ত্ব এই প্রতাষ্ঠিত তত্ত্বকেও নাকচ করে দিতে পারে। এভাবেই এগিয়ে চলে বিজ্ঞান।
গাঠনিক বিজ্ঞান
জ্যোতির্বিজ্ঞান | রসায়ন | পদার্থবিজ্ঞান | গণিত | গাণিতক বিশ্লেষণ | তড়িৎ প্রবাহ ও বর্তনী ধ্রুবক | নৃবিজ্ঞান | পরিসংখ্যান | পারমানবিক পদার্থবিজ্ঞান | মৌলিক পদার্থ | যৌগিক পদার্থ
ভূ বিজ্ঞান
দ্বীপপুঞ্জ | পর্বত | নদী | মহাদেশ | দ্বীপপুঞ্জ | প্লেট ভূগঠনপ্রণালী | বাল্টিক দ্বীপপুঞ্জ | বায়ুমন্ডল | ভূতত্ত্ববিদ্যা | ভূগোল | মরুভূমি | মহাসাগর
জৈবিক বিজ্ঞান
জীব বিজ্ঞান | দন্ত চিকিৎসা | বাস্তব্য বিজ্ঞান | চিকিৎসা | স্নায়ুবিজ্ঞান | পুষ্টিবিজ্ঞান | ফার্মেসি | মনোবিজ্ঞান | গোচিকিৎসা | অমেরুদন্ডী প্রাণী | মেরুদন্ডী প্রাণী | উদ্ভিদ | উদ্ভিদ বিজ্ঞান | উদ্ভিদজাত পদার্থ | উদ্ভিদ বিজ্ঞান | চর্মরোগ | জলজ উদ্ভিদ | জীব | প্রাণী | প্রাণীজাত পদার্থ | মানবদেহ
প্রাসঙ্গিক
প্রকৌশল | বিজ্ঞানের ইতিহাস | গণিত | প্রযুক্তি | কম্পিউটার বিজ্ঞানমহাকাশ বার্তা বাংলাদেশের প্রথম মহাকাশ ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা। বাংলাদেশ অয়স্ট্রোনমিক্যাল অয়সোসিয়েশন এটি প্রকাশ করে।
সায়েন্স ওয়ার্ল্ড একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞান বিষয়ক মাসিক পত্রিকা যা বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রকাশিত হচ্ছে। প্রফেসরস প্রকাশনী এটি বের করেছে।
বিজ্ঞান চেতনা একটি ত্রৈমাসিক বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা। এতে তথ্যের চেয়ে তত্ত্বের উপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয় বিধায় এর মাধ্যমে বিজ্ঞানের মূল বিষয় সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করা
ইউরেনিয়াম পর্যায় সারণীর ৯২তম মৌল। এটি পর্যায় সারণীর ৭ম পর্যায়ের ৩য় শ্রেণীর B উপশ্রেণীতে অবস্থিত। এটি মূলত তেজস্ক্রিয় এবং নীলাভ সাদা বর্ণের ধাতু।
১৭৮৯ সালে বিজ্ঞানী মার্টিন হাইনরিখ ক্ল্যাপরথ (Martin Heinrich Klaproth) ইউরেনিয়াম আবিষ্কার করেন। তিনি ইউরেনাস গ্রহের নামানুসারে এর নামকরণ করেন ইউরেনিয়াম কারণ তখন ইউরেনাস গ্রহের আবিষ্কারের ঘটনা ছিল সবচেয়ে সাম্প্রতিক। কিন্তু প্রথম ইউরেনিয়াম সংশ্লেষ করা হয় ১৮৪১ সালে। এই সালে বিজ্ঞানী ইউজিন পেলিকট (Eugene-Melchior Peliqot) ইউরেনিয়াম টেট্রাক্লোরাইড (UCl4) থেকে প্রথম U সংশ্লেষ করেন। ১৮৬৯ সালে যখন দিমিত্রি মেন্ডেলিভ (Dimitri Ivanovich Mendeleyev) পর্যায় সারণী আবিষ্কার করেন তখন U সবচেয়ে ভারী মৌল হিসেবে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ১৯৪০ সালে প্রথম ট্রান্সইউরেনিয়াম মৌল তথা নেপচুনিয়াম আবিষ্কারের পূর্ব পর্যন্ত এটিই ছিল সবচেয়ে ভারী। ১৮৯৬ সালে বিজ্ঞানী হেনরী বেকেরেল ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন।
থেলিস প্রাচীন গ্রীক গণিতশাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা এবং দর্শনের জনক হিসেবে নন্দিত। তিনি এশিয়া মাইনরের একজন ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন প্রাচীন গ্রীসের ৭ জ্ঞানী ব্যক্তির একজন যাদেরকে সোফি বলা হয়। ইতিহাসবেত্তা ডায়োকেনিস লিরটিয়াস এর মতে ৩৯তম অলিম্পিয়াডের সময় অর্থাৎ ৬২৪ খৃঃ পূর্বাব্দে এশিয়া মাইনরের মিলেটাস নামক স্থানে থেলিস জন্মগ্রহন করেন। আর তার মৃত্যু হয় ৫৮তম অলিম্পিয়াডের সময় অর্থাৎ ৫৪৮ থেকে ৫৪৫ খৃঃ পূর্বাব্দের মাঝে কোন এক সময়। তখন তার বয়স ছিল ৭৮ বছর।
- থেলিস কিছু যুগান্তকারী উপপাদ্যের জনক। জ্যামিতির পাঁচটি উপপাদ্য প্রণয়নের জন্যই মূলত তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন। উপপাদ্যগুলো হলঃ
- একটি বৃত্ত তার যেকোন ব্যস দ্বারা সমদ্বিখন্ডিত হয়।
- সমদ্বিবাহু ত্রিভুজের সমান সমান বাহুগুলোর বিপরীত কোণগুলোও পরষ্পর সমান।
- অর্ধবৃত্তস্থ কোণের পরিমাণ এক সমকোণ বা ৯০o।
- পরষ্পরছেদী দুইটি সরলরেখা দ্বারা উৎপন্ন বিপ্রতীপ কোণদ্বয় পরষ্পর সমান।
- যদি কোন ত্রিভুজের ভূমি এবং ভূমিসংলগ্ন কোণদুইটি দেয়া থাকে তবেই কেবল ত্রিভুজটি আঁকা যাবে।
বর্তমানে এগুলোকে খুব সরল মনে হলেও তৎকালীন সময়ের জন্য এগুলো ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিশরে এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলত আর এই আলোচনাগুলোকেই উপপাদ্যগুলো সাধারণ সত্যে পরিণত করেছিল।
সোনোলুমিনেসেন্স (Sonoluminescence) হল আলোর ক্ষুদ্র ক্সুদ্র এক ধরণের বিকিরণ। শব্দের মাধ্যমে যখন কোন তরলের বুদবুদের মধ্যে আন্দোলন সৃষ্টি করা হয় তখন এ বিকিরণ উৎপন্ন হয়। ১৯৩৪ সালে কলোন বিশ্ববিদ্যালয়ে সোনার নিয়ে কাজ করার সময় এই ক্রিয়াটি আবিষ্কৃত হয়। এইচ. ফ্রেঞ্জেল (H. Frenzel) এবং এইচ. শালটেস (H. Schultes) নামক দুজন বিজ্ঞানী ছবির ডেভেলপিং এর কাজে ব্যবহৃত তরলের মধ্যে উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ প্রেরণ করেন। তারা ভেবেছিলেন এতে ছবি ডেভেলপিং দ্রুততর হবে। কিন্তু তারা লক্ষ্য করলেন যে ডেভেলপিং এর মাধ্যমে প্রাপ্ত ছবিতে কিছু উজ্জ্বল দাগ রয়ে গেছে। তারা তখন বুঝতে পারেন যে তরলের বুদবুদ থেকে আলো নিঃসরিত হচ্ছে।
বিস্তারিত তথ্য - প্রবেশদ্বার?
সার্ভার ক্যাশ খালি করুন (Purge server cache)