যক্ষ্মা
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডাক্তারী পরিভাষা | টিউবারকিউলোসিস |
---|---|
কথ্য পরিভাষা | |
জীবাণু | মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস |
জীবাণু প্রকার | ব্যাক্টেরিয়া |
জীবাণু আবিষ্কারক | রবার্ট কখ - ১৮৮২ ( জার্মানি ) |
রোগের ইতিহাস | খ্রিস্টপূর্ব ১৫৫০ - খ্রিস্টপূর্ব ১০৮০ এ প্রাচীন মিশরীয় মমিতে প্রমাণ মিলেছে। |
বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত | মোট ২০ মিলিয়ন ( প্রায় ) জন , প্রতি বছর ৮ মিলিয়ন (প্রায়) নতুন রোগী। |
মূল আক্রান্ত দেশ | ভারত (জনসংখ্যার ৪০% সংক্রমিত);এশিয়া,আফ্রিকার অনুন্নত দেশ। |
সংক্রামণ পথ | হাঁচি , কথা বলা ,থুতু বা কাশির সাথে নির্গত ভাসমান জলকণা। |
আক্রান্ত তন্ত্র | প্রাথমিকভাবে শ্বাসতন্ত্র (ফুসফুস)। |
রোগের লক্ষণ | ক্রমাগত কাশি আর জ্বর ,বুকে যন্ত্রণা , কাশির সাথে রক্ত ওঠা ইত্যাদি । |
নিরাময় | একাধিক ওষুধ সমন্বয় চিকিৎসা নিয়মিত গ্রহণে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব। |
নির্মূলীকরণের বাধা | অনিয়মিত ওষুধ সেবন - ফলে একাধিকওষুধ প্রতিরোধী জীবাণুর আভির্ভাব , ক্রম্ববর্ধমান এইডস রোগীদের ক্ষেত্রে এই জীবাণুর সুবিধাবাদী সংক্রমণ , তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে অস্বাস্থ্যকর জনাকীর্ণ বাসস্থান। |
যক্ষ্মা বা যক্ষা (ইংরেজি Tuberculosis, টিউবারক্যুলোসিসবা টিবি) এক সংক্রামক রোগ। এর কারণ মাইকোব্যক্টেরিয়াম টিউবারক্যুলোসিস (Mycobacterium tuberculosis)নামের বীজাণু(Pathogen)।
যক্ষ্মা শব্দটা এসেছে "রাজক্ষয়" থেকে। ক্ষয় বলার কারণ এতে রোগীরা খুব শীর্ণ (রোগা) হয়ে পড়।
যক্ষ্মা প্রায় যে কোন অঙ্গে হতে পারে (ব্যতিক্রম কেবল হৃত্পিণ্ড, অগ্ন্যাশয়, পেশী ও থাইয়েড গ্রন্থী)। যক্ষ্মা সবচেয়ে বেশী দেখা যায় ফুসফুসে। গরুর দুধ পাস্তুরায়ণ প্রচলনের আগে অন্ত্রেও অনেক বেশী হত।
ফুসফুসে যক্ষ্মা হলে হাল্কা জ্বর ও কাশী হতে পারে। কাশীর সঙ্গে গলার ভিতর থেকে থুতুতে রক্তও বেরোতে পারে। থুতু অণুবীক্ষণযন্ত্রে পরীক্ষা করলে মাইকোব্যক্টেরিয়াম টিউবারক্যুলোসিস দেখা যাবে। মুখ ঢেকে না কাশলে যক্ষা সংক্রমণিত থুতুর ফোঁটা বাতাসে ছড়ায়। আলো-বাতাসহীন অস্বাস্থকর বদ্ধ পরিবেশে মাইকোব্যক্টেরিয়াম অনেকক্ষণ বেঁচে থাকে। পৃথিবীর যক্ষ্মা রোগীদের একতৃতীয়াংশেরও বেশী (প্রায় অর্ধেক) ভারতীয় উপমহাদেশ-বাসী। বীজাণু শরীরে ঢুকলেই সবার যক্ষ্মা হয়না।
[সম্পাদনা] টিবির ওষুধ
- প্রথম সারির ওষুধ:
- রিফাম্পিসিন
- আইসোনিয়াজিড
- পাইরাজিনামাইড
- ইথামব্যুটল
- স্ট্রেপ্টোমাইসিন
- দ্বিতীয় সারির ওষুধ:
- ওফ্লক্সাসিন
- রিফাবিউটিন
- ইথিওনামাইড
- সাইক্লোসেরিন
- প্যারা অ্যামিনো স্যালিসিলেট