ভারত
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
|
|||||
|
|||||
রাষ্ট্রভাষা | হিন্দি, ইংরেজি ও আর ২১টি ভাষা | ||||
রাজধানী | নয়া দিল্লী | ||||
রাষ্ট্রপতি | এ পি জে আব্দুল কালাম | ||||
প্রধানমন্ত্রী | মনমোহন সিং | ||||
ভূখন্ড | ৩,২৮৭,৫৯০ বর্গ কিলোমিটার | ||||
জনসংখ্যা | ১,১৯২,২২৫,৮১২ ( ২০০৬ আনুমানিক); ১,০২৭,০০০,০০০ (২০০১) | ||||
স্বাধীনতা দিবস | ১৫ অগষ্ট, ১৯৪৭ | ||||
প্রজাতন্ত্র দিবস | ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫০ | ||||
মুদ্রা | ভারতীয় টাকা সংক্ষেপে Rs. বা রুপি (হিন্দি: रुपया, ইংরেজি Rupee) | ||||
সময় | গ্রেনিচ মানসময় + ৫:৩০ ঘন্টা | ||||
জাতীয় সঙ্গীত | "জন গণ মন অধিনায়ক" |
ভারত গণরাজ্য (হিন্দি: भारत गणराज्य, ইংরেজি: Republic of India), দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। এর রাজধানী নয়া দিল্লী। এই দেশটির সীমানা হল পশ্চিমদিকে পাকিস্তান, উত্তর দিকে চীন, নেপাল ও ভুটান, পূর্ব দিকে বাংলাদেশ ও মায়ানমার। এছাড়া ভারতে ৭০০০ কিলোমিটারেরও বেশী দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত রয়েছে। বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর ও ভারত মহাসাগর দেশটিকে দক্ষিণদিকে ঘিরে রেখেছে।
ভারতের অর্থনীতি ক্রয়ক্ষমতার সমতা (Purchasing power parity)-র বিচারে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম এবং বিনিময় হার (exchange rate)-এর বিচারে দশম বৃহত্তম। ১০০ কোটির বেশী মানুষের দেশ ভারত জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে (চীনের পরেই)। ভারত পৃথিবীর সরচেয়ে বড় উদারনৈতিক গণতন্ত্র (liberal democracy)।
ভারত চারটি ধর্মমতের জন্মভূমি - হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন এবং শিখ ধর্ম। ভারতীয় সংস্কৃতি পৃথিবীর ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ১৯৪৭ সালে ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। এর পরে ভারতীয় অর্থনীতির ক্রমে অবনতি হতে থাকে এবং ভারতকে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির নেতা বলা হতে থাকে। ১৯৮০-র দশক থেকে ভারতীয় অর্থনীতির উদারীকরন শুরু হয় এবং ভারত ক্রমশ বহির্বিশ্বের কাছে অর্থনীতির দরজা উন্মুক্ত করে দিতে থাকে। বর্তমানে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে ভারতকে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়।
সূচিপত্র |
[সম্পাদনা] ইতিহাস
[সম্পাদনা] সরকার
ভারত একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, প্রজাতান্ত্রিক গণতন্ত্র। ভারতের সংসদ (পার্লামেন্ট) দুই কক্ষ-বিশিষ্ট (bicameral) এবং ওয়েস্টমিন্সটার সিস্টেমে (Westminster system) পরিচালিত হয়। সরকারের তিনটি ভাগ রয়েছে - লেজিসলেচার ( Legislature,), কার্য্যনির্বাহি (Executive,) এবং আইনি (Executive)। রাষ্ট্রপতি দেশের প্রধান নাগরিক (head of state) তথা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদাধিকারী (Commander-in-chief)। রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি ৫ বছর অন্তর নির্বাচিত হন সংসদ সদস্যদের দ্বারা। প্রধানমন্ত্রি হচ্ছেন সরকারের প্রধান (head of the government) এবং সর্বোচ্চ কর্মনির্বাহি (executive) ক্ষমতাধারী। যে দল বা দলগোষ্ঠী সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেই দল বা দলগোষ্ঠির সাংসদরা প্রধানমন্ত্রী-কে নিজেদের মধ্যে থেকে বেছে নেন। রাজ্যসভা (Council of States) এবং লোকসভা (House of People) হল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট ভারতীয় সংসদের দুটি কক্ষ। ভারতের জনসাধারন প্রতি ৫ বছর অন্তর দেশব্যাপি সংসদীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ৫৪৫ জন লোকসভার সাংসদকে (Member of Parliament) বেছে নেন। ১৮ বছর বা তার বেশী বয়স্ক সব ভারতীয় নাগরিক ভোট দিতে পারেন। সরকারের কার্য্যনির্বাহি দিকটির প্রধান হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রি, এবং তিনি রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রিসভার সহায়তায় যাবতীয় সরকারি কাজকর্ম পরিচালনা করেন। সরকারের বিচার ব্যবস্থা (Judiciary system) সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়। সব থেকে উপরে আছে সুপ্রিম কোর্ট, যার প্রধান চিফ জাস্টিস অফ ইন্ডিয়া। সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি ভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে বিবাদ মেটাতে এবং আপীলের মাধ্যমে হাই কোর্টের কোনো কেসে হস্তক্ষেপ করতে পারে। ভারতে ১৮টি হাই কোর্ট আছে যেগুলি কোনো একটি বা একাধিক রাজ্যের কেস-সমূহ আপীলের মাধ্যমে বিচার করতে পারে। সব রাজ্যে শ্রেণীবিভক্ত নিম্নতর কোর্ট আছে। লেজিস্লেচার ও আইনি ব্যবস্থার মধ্যে বিবাদ ঘটলে রাষ্ট্রপতির শরণাপন্ন হতে হয়।
[সম্পাদনা] রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
[সম্পাদনা] রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল
আরও দেখুন: ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল
ভারত রাষ্ট্র ২৮ টি রাজ্য (state) এবং ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (union territories) নিয়ে গঠিত। প্রতিটি রাজ্য কয়েকটি জেলা (district)দ্বারা গঠিত। প্রতিটি রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (দিল্লী ও পন্ডিচেরি)-এর নিজস্ব নির্বাচিত স্থানীয় সরকার আছে। বাকি ৫টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আছেন কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত প্রশাসক।
রাজ্য:
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল:
- আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
- চন্ডীগড়
- দাদরা ও নগর হাভেলি
- দমন ও দিউ
- লাক্ষাদ্বীপ
- পন্ডিচেরী
- ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অফ দিল্লী
[সম্পাদনা] ভূগোল ও জলবায়ু
ভারত প্রধানত ভারতীয় উপমহাদেশে ইন্ডিয়ান প্লেট নামক টেক্টোনিক প্লেটের উপর অবস্থিত। ভারতের কিছু অংশ ( উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল) হিমালয় পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত। উত্তরের বাকি অংশ, মধ্য ভারতের বেশীরভাগ অংশ ও প্রায় সম্পূর্ণ পূর্ব ভারত গাঙ্গেয় সমভূমির অন্তর্গত। পশ্চিমে, দক্ষিণ-পূর্ব পাকিস্থানের সীমানা বরাবর রয়েছে থর মরুভূমি। দক্ষিণ ভারতের পেনিনসুলা অঞ্চলটির প্রায় পুরোটা জুরে রয়েছে দাক্ষিণাত্য মালভূমি যা পূর্বে ও পশ্চিমে যথাক্রমে পূর্বঘাট ও পশ্চিমঘাট পর্বত্মালা দ্বারা সীমিত। ভারতে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য নদী আছে, যথা, গঙ্গা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, গোদাবরী, কাবেরী, কৃষ্ণা ইত্যাদি। ভারতের অন্তর্গত তিনটি আর্চিপেলাগো (archipelago) হল দক্ষিণ-পশ্চিমে লাক্ষাদ্বীপ, দক্ষিন-পূর্বে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চলে সুন্দরবন। এই বিশাল দেশের জলবায়ু বিবিধ প্রকারের। দক্ষিণে ক্রান্তীয় (tropical), অপেক্ষাকৃত উত্তরে temperate, এবং হিমালয় অঞ্চলে তুন্দ্রা জাতীয় জলবায়ু দেখা যায়। ভারতে সর্বাধিক বৃষ্টি মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বর্ষাকালে হয়ে থাকে।
[সম্পাদনা] অর্থনীতি
Purchasing power parity-এর বিচারে ভারতীয় অর্থনীতি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম। এদেশের জিডিপি (GDP) ৩.৩৬ ট্রিলিয়ন আমেরিকান ডলার। আমেরিকান ডলার বিনিময় হারের (USD exchange-rate) দিক থেকে দেখলে এর অর্থনীতি , ৬৯১.৮৭ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার জিডিপি সহ, বিশ্বের দশম বৃহত্তম (২০০৪ সালের হিসাব)। ২০০৫-২০০৬ সালের প্রথম চারমাসের হিসাবে ভারত ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি, যার জিডিপি বর্ধনের হার ছিল ৮.১%। তথাপি, বিশাল জনসংখ্যার কারনে, ভারতের মাথাপিছু আয় (Purchasing power parity-র মাপকাঠিতে) ৩,১০০ আমেরিকান ডলার এবং ভারতকে উন্নয়নশীল দেশ হিসাবেই গণ্য করা হয়।
স্বাধীনতার পর থেকে বহু বছর ভারত ছিল সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির দেশ, যেখানে সরকার কড়া নজর রেখেছিল ব্যক্তিগত ক্ষেত্র, বৈদেশিক বাণিজ্য ও সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের উপর। ১৯৯০-এর দশক থেকে অর্থনৈতিক উদারিকরনের ফলে এই কড়াকড়ি আস্তে আস্তে কমেছে। ভারতের শ্রমশক্তি (labour force) ৪৯৬.৪ মিলিয়ন। এর মধ্যে ৬০% কৃষি, ১৭% শিল্প, এবং চাকরিক্ষেত্রে ২৩% নিযুক্ত আছেন। বেকারত্বের হার ৯%। কৃষিজাত ফসলের মধ্যে চাল, গম, তৈলবীজ, তূলা, পাট, চা, আখ, আলু ; এবং সম্পর্কিত ক্ষেত্রে গবাদি পশু, ছাগল, ভেড়া, পোল্ট্রি, মাছ ইত্যাদি উল্ল্যেখযোগ্য। প্রধান শিল্পগুলি হল বস্ত্র, রাসায়নিক, ফুড প্রসেসিং, ইস্পাত, যানবাহন, সিমেন্ট, খনি, পেট্রোলিয়াম, যন্ত্রাংশ প্রভৃতি। বর্তমানে ভারতের শিক্ষিত, ইংরাজি-পটু যুবক সম্প্রদায়ের অনেকেই আউটসোর্সিং ও কল সেন্টার-এর কাজে জড়িত। ভারত থেকে প্রচুর পরিমানে কর্মী বিদেশে যান সফটওয়্যার সার্ভিস, ফিনান্সিয়াল সার্ভস , সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজের জন্য। ভারতের প্রধান বাণিজ্যিক সহযোগীরা হল ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাপান, চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। ভারতের মুম্বাই শহরকে এদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসাবে গণ্য করা হয়।
[সম্পাদনা] জনগোষ্ঠী
[সম্পাদনা] সংস্কৃতি
[সম্পাদনা] খেলাধূলা
[সম্পাদনা] তথ্যসূত্র
সংজ্ঞা, উইকি-অভিধান হতে
পাঠ্যবই, উইকিবই হতে
উক্তি, উইকিউক্তি হতে
রচনা সংকলন, উইকিউৎস হতে
ছবি ও অন্যান্য মিডিয়া, কমন্স হতে
সংবাদ, উইকিসংবাদ হতে
সুত্র: তথ্যাবলী ইংরেজি উইকিপিডিয়া, সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক থেকে অনুদিত।
ইতিহাস • প্রশাসনিক অঞ্চল • ভূগোল • অর্থনীতি • রাজনীতি • জনসংখ্যার পরিসংখ্যান • সংস্কৃতি • পরিবহন ব্যবস্থা • পর্যটন • সামরিক বাহিনী • ভাষা • ধর্মবিশ্বাস • সংবাদপত্র • বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ • জাতীয় পতাকা • জাতীয় সঙ্গীত • শহর