কলেরা
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডাক্তারী পরিভাষা | কলেরা - cholera |
---|---|
কথ্য পরিভাষা | ওলাওঠা |
জীবাণু | ভিব্রিও কলেরী |
জীবাণু প্রকার | ব্যাক্টেরিয়া(গ্রাম নেগেটিভ ব্যাক্টেরিয়া) রোগ সংঘটক অণু - কলেরা টক্সিন, জট (zot) বা জোনুলা অক্লুডেন্স টক্সিন |
জীবাণু আবিষ্কারক | রবার্ট কখ |
রোগের ইতিহাস | গাঙ্গেয় ও ব্রহ্মপুত্র সমতলভূমিতে প্রাচীন। বিশ্বব্যাপী মহামারী সাতবার। |
বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত | |
মূল আক্রান্ত দেশ | দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষতঃ বাংলাদেশ ও ভারত। |
সংক্রামণ পথ | মল দ্বারা পানীয়জল জলদূষণ। |
আক্রান্ত তন্ত্র | পাচনতন্ত্র (অন্ত্র)। |
রোগের লক্ষণ | মুহূর্মহু প্রচুর জলের মত পাতলা পায়খানা, পেটব্যথা, জলাভাবে শারীরিক দৌর্বল্য। |
নিরাময় | প্রচুর জল ও পানীয় (ও আর এস), এছাড়া, অ্যন্টিবায়োটিক (টেট্রসাইক্লিনস, ফুরাজোলিডোন, ফ্লুরোকুইনোলোনস। |
নির্মূলীকরণের বাধা | জলদূষণ, রোগীর কাপড় যেখানে সেখানে ধোয়া। |
কলেরা একটি সংক্রামক রোগ যা পাশ্চাত্যে এশীয় কলেরা নামেই বেশী পরিচিত। ভিব্রিও কলেরী নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এই রোগ হয়ে থাকে যার প্রধান উপসর্গ মারাত্মক উদরাময় ndash; মুহূর্মহু প্রচুর জলের মত পাতলা পায়খানা, সঙ্গে পেটব্যথা, জলাভাবে শারীরিক দৌর্বল্য এবং চিকিৎসা না হলে শেষপর্যন্ত দেহে জলাভাবের ফলে মৃত্যু। মানব শরীরে সংক্রমণের প্রধান বাহক পানীয় জল অথবা খাদ্য। রোগটির প্রাকৃতিক রিজার্ভার আছে কিনা জানা নেই। রিজার্ভার বা ধারক হল কোন প্রাণীর দঙ্গল বা প্রাকৃতিক কোন স্থায়ী উৎস যা বীজানুটিকে ধারণ করে রাখে (কিন্তু জীবিত ধারকের ক্ষেত্রে- নিজেরা রোগে মারা পড়ে না)। এরা রোগটিকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হতে সাহায্য করতে পারে এবং রোগটি পৃথিবী থেকে দূর করার প্রধান অন্তরায় হয়ে পড়ে। অনেক দিন শরে মনে করা হয়ে এসেছে এর ধারক মানুষ নিজেই, কিন্তু কিছ তথ্যপ্রমাণ অনুযায়ী এর ধারক হতে পারে জলীয় পরিবেশ।
ভিব্রিও কলেরী কলেরা টক্সিন নামের এন্টেরোটক্সিন তৈরী করে যার ক্রিয়ায় খাদ্যনালীর দেওয়ালের আবরণী কলা থেকে বেশী পরিমাণ ক্লোরাইড ও জল চোঁয়াতে থাকে যা পাতলা জলের মত পায়খানা গঠন করে। জোরালো সংক্রমণ ও টক্সিনের বিষক্রিয়া হলে কলেরার প্রাণঘাতী ক্রিয়ায় ১ ঘণ্টায় একজন সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষের রক্তচাপ অস্বাভাবিক কমে যেতে পারে ও ২-৩ ঘণ্টায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণ মাঝারি মাপের সংক্রমণে ৪-১২ ঘণ্টায় শক (অর্থাৎ নিম্ন রক্ত চাপ ইত্যাদি কারণে দেহের সমস্ত অংশে রক্ত সরোবরাহের অভাব) এবংপরবর্তী দেড় দিন বা কয়েক দিনের মধ্যে মৃত্যু হতেপারে। [১]